ads

বিছানায় নয়, জিমেই চূড়ান্ত শারীরিক সুখ পাচ্ছেন মেয়েরা !

ads
চূড়ান্ত শরীরী সুখ, যাকে ইংরেজিতে ‘অর্গ্যাজম’ বলা হয়, তা যৌনতা ছাড়া অন্য কোনও উপায়ে পাওয়া যায় কি?
এই প্রশ্নের উত্তর যদি আধ্যাত্মিক জগতে খোঁজা যায়, তাহলে অবশ্যই ইতিবাচক জবাব পাওয়া সম্ভব। বাউল-ফকিরদের দেহবাদী সাধনা, তন্ত্র বা যোগের বিজ্ঞান, শৈবাগমের কঠিন সাধনা এই সুখের সন্ধান দেয়। দেয় সুফি বা মরমিয়া খ্রিস্টানদের সাধন পদ্ধতিও।
এই সব পথ নিঃসন্দেহে কঠিন। আর তাতে এই মহাসুখের সন্ধান যে মিলবেই, এমন কোনও গ্যারান্টি নেই। কোনও রকম শরীরী সঙ্গ ছাড়াই অর্গ্যাজম যে সম্ভব, তা সম্প্রতি জানিয়েছে ‘স্কেয়ারি মমি’ নামের এক নারী-সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইট। তাদের প্রতিবেদন অনুসারে, জিমে অনুশীলনরত অবস্থায় মেয়েরা অর্গ্যাজমিক আনন্দ লাভ করেন। তবে সব সময়ে যে এটা হয়, তা না। কোনও কোনও ওয়ার্কআইটে এই অনুভূতি লাভের সম্ভাবনা রয়েছে।
এই ধরনের অর্গাজমকে ‘কোরেগ্যাজম’ বলে ডাকা হয়। সাধারণত এন্ডোরফিন হরমোনের নিঃসরণের ফলেই এমনটা ঘটে। সাধারণত পেটের ব্যায়ামের সময়েই এটা ঘটে। তবে, ট্রেডমিলে দৌড়নো বা ওয়েট লিফটিংয়ের সময়েও কোরেগ্যাজম ঘটতে পারে।
সাধারণত অর্গ্যাজম এক ক্ষণমুহূর্তের ব্যাপার। কিন্তু কোরেগ্যাজমের অনুভূতি বেশ কয়েক ঘণ্টা স্থায়ী হয় বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
কোরেগ্যাজমের কথা প্রথম ব্যক্ত করেন সেক্সোলজিস্ট আলফ্রেড কিনসে ১৯৫৩ সালে। এই সময়েই নারী-অর্গ্যাজমের স্বরূপ আবিষ্কারে রত হন বিজ্ঞানীরা। ‘সেক্সুয়াল বিহেভিয়র ইন দ্য হিউম্যান ফিমেল’ গ্রন্থে কিনসে জানিয়ে ছিলেন, ৫ শতাংশ নারী ব্যায়ামের সময়ে ‘ইতিহর্ষ’ লাভ করেন।
বিজ্ঞানীরা যাই বলুন না কেন, জিমের মতো এক পাবলিক প্লেসে শরীরী আনন্দ পেতে মেয়েরা একেবারেই পছন্দ করছেন না, একথাও জানা গিয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
-এবেলা.ইন।
Nature

No comments

ads
Powered by Blogger.